প্রতীকী ছবি
রাজধানীর বাজারগুলোয় ছোট-বড় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমায় দাম আরো বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাছ। বর্তমানে বাজারে ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ মেলে না।
তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশের কেজিও ২০০ টাকার ওপর। ফলে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট আরো বেড়েছে। মাছসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ।
এদিকে আমদানি বন্ধের অজুহাতে দেড় মাসের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হতে শুরু করে ১০০ টাকায়।
সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশ শুরু করলে দাম আরো কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়াসহ দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে।
আকারভেদে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ আকারভেদে কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের নলা রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেড় কেজি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি, দুই কেজি ওজনের বেশি রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। মাঝারি আকারের কাতল কেজি ৩৫০ টাকা, একটু বড় আকারের কাতল কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ কেজি ৭০০ টাকা, চিংড়ি মাছ কেজি (আকারভেদে) ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি কেজি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আলুর (বড় সাইজের) দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেরালা জাতের আদা কেজি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চীনা আদা কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন আমদানি করা ও দেশি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
রামপুরা কাঁচাবাজারে কথা হয় স্থানীয় ক্রেতা মোস্তাকিম বিল্লাহর সঙ্গে। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘একটু ভালোমন্দ যে খাব তার উপায় নেই। ডিম ও নিরামিষ খেতে খেতে জীবন ঝালাপালা। পাঙ্গাশ কিংবা ব্রয়লার মুরগি কিনতেও এখন ২০০ টাকার বেশি লাগছে। এগুলো কিনলে অন্য সদাই না কিনে ঘরে ফিরতে হয়।’
রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন নতুন করে মাছ চাষের সময়। ফলে মাছের ঘেরগুলো থেকে পুরনো মাছ তুলে বিক্রি করে নতুন মাছ ছাড়ছেন অনেকে। এ কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। পাইকারি বাজার থেকে আমরা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দিয়ে মাছ কিনছি।’
সবজির বাজার :
বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে। কাঁচা মরিচ কেজি ১২০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন মানভেদে কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা কেজি ৬০ টাকা, বরবটি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৫০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ও চিচিঙ্গা কেজি ৬০ টাকা এবং কচুরমুখী কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন আগের তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম। ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে।’











































