বক্সার সেলিম হোসেনের সামনে অনন্য কীর্তি গড়ার হাতছানি। ১৯৮৬ সালে সিউলে বক্সার মোশাররফ হোসেনের পর এশিয়াডে বাংলাদেশের হয়ে আর কেউ পারেননি ব্যক্তিগত কোনো পদক জিততে। আজ জাপানি প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাতে পারলেই তিন যুগ পর সেই সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনবেন আরেক বক্সার সেলিম হোসেন।
সিউলে লাইট হেভিওয়েট ক্যাটাগরিতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন মোশাররফ।
আর সেলিম ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়ে রিংয়ে নামবেন ৫৭ কেজি ওজনশ্রেণিতে। হাংজু জিমনেসিয়ামে তিনি কি পারবেন বাংলাদেশকে পদকের উচ্ছ্বাসে ভাসাতে? সেলিম নিজে বেশ আত্মপ্রত্যয়ী, ‘এটা এমন একটা খেলা, যেখানে এক ম্যাচ জিতলে স্বাভাবিকভাবে পরের ম্যাচ জেতার স্পৃহা বেড়ে যায়। আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস আছে, এই ম্যাচেও জিততে পারব।’ জাপানের শুদাই হারাদার বিপক্ষে সেলিমের কোয়ার্টার ফাইনালের এই বাউট শুরু হবে বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা ৬টায়।
এই লড়াই সামনে রেখে গতকাল হাংজুর গেমস ভিলেজে কোচ শফিউল ইসলামকে নিয়ে কঠোর অনুশীলন করেছেন সেলিম। হারাদারকে হারাতে পারলে তিনি জায়গা করে নেবেন সেমিফাইনালে। আর শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারলে পদকও নিশ্চিত হবে সেলিমের। তাতে তিন যুগ পর এশিয়াডে ব্যক্তিগত কোনো ইভেন্টে পদক জিতবে কোনো বাংলাদেশি অ্যাথলেট।
সেলিমকে ঘিরে তাই স্বপ্নের জাল বুনছেন কোচ শফিউল ইসলামও। শিষ্যের পদক জয়ের ব্যাপারে তিনি দারুণ আশাবাদী, ‘সেলিম বেশ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। কিভাবে কী করতে হবে সে তা ভালোভাবে জানে। তবু গত দুই দিন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের যে দুর্বলতা আছে, সেগুলো বের করে কাজ করেছি। এই ম্যাচ নিয়ে আমি খুব আশাবাদী।
’ এর আগে প্রথম রাউন্ডে শ্রীলঙ্কা এবং প্রাক-কোয়ার্টারে তাজিকিস্তানের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেন সেলিম হোসেন।