একসময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার ইমরান খান। ক্যারিয়ার শেষে যোগ দেন রাজনীতির মাঠে। ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) গঠন করেন তিনি। তবে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজনীতিতে তেমন সফলতা পাননি। ওই সময় ব্যাপক দুর্নীতি ও বেকারত্ব সংকটে তরুণদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।
রাজনৈতিক প্রচারণায় একে কাজে লাগিয়ে তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন ইমরান।২০১৩ সালের নির্বাচনের পর ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন ইমরান খান। ২০১৮ সালের নির্বাচন সামনে রেখে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
অবশেষে দেশের প্রভাবশালী মহলের সমর্থন নিয়ে ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতায় বসার অল্প দিনের মধ্যেই গুরুতর কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কার সঙ্গে নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি ও বাজেট ঘাটতি বাড়তে থাকে। পাশাপাশি নিজের মিত্রদের সঙ্গেও তার মতভিন্নতা দেখা দেয়। এরপরই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, পাঠানো হয় জেলে।
মামলায় মামলায় বাতিল করা হয় তার প্রতীক। অবশেষে জনগণের জোরে আবারও এবারের নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তার দল। এভাবেই কারাগারে চোখের আড়াল হলেও জনগনের মনে রয়েছেন ইমরান খান।