চলচ্চিত্রের বাইরে কিছু ভাবতে পারি না : নিরব

নিরব হোসেন

হঠাৎ করেই এ সপ্তাহে (২৪ মে) মুক্তির মিছিলে এলো সফিকুল আলমের ‘সুস্বাগতম’। ছবির নায়ক নিরব হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।

আপনি কত দিন আগে জেনেছেন, ‘সুস্বাগতম’ এ সপ্তাহে মুক্তি পাবে?
পাঁচ দিন আগে নির্মাতা সফিকুল আলম ভাই ফোন করে জানালেন। আমি আকাশ থেকে পড়লাম।

কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই, পত্র-পত্রিকায় নিউজও নেই। মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে কী করে সম্ভব! প্রচার-প্রচারণা ছাড়া তারকানির্ভর, ভালো মানের ছবিও তো মুখথুবড়ে পড়ে।

তো এই স্বল্প সময়ে কী করবেন বলে ভেবেছেন?
১৬ মে আমার মালদ্বীপ যাওয়ার কথা ছিল। পরিচালকের ফোন পেয়ে সেটা বাতিল করলাম।

এখন নিজে থেকে যেটুকু পারছি করছি। পরিচালক ফোন দিয়ে জানালেন, স্পর্শিয়াকে পাচ্ছেন না। আমি কী করব বলেন! প্রত্যেকের নিজের কাজ নিয়ে একটা স্বপ্ন থাকে, হয়তো স্পর্শিয়ারও ছিল। এই ছবিতে সে দুর্দান্ত একটা চরিত্র করেছে।

হয়তো ভেবেছিল প্রচার-প্রচারণা করে সবাইকে জানাবে ছবিটির কথা। হঠাৎ মুক্তির সিদ্ধান্তে সেটা আর হলো না। হয়তো সে কারণেই অভিমানে ফোন ধরছে না।

ছবিটিতে আপনাকে কেমন চরিত্রে পাওয়া যাবে?
গ্রামের এক যুবকের চরিত্র। স্বপ্নবিলাসী এক মেয়েকে ভালোবাসে সে।

মেয়েটি স্বপ্ন দেখত একদিন পাইলট হবে। ছেলেটির সঙ্গে তার বিয়েও হয়। একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ার পর মেয়েটি মারা যায়। পরে তার কন্যাই পাইলট হয়। ছবিতে স্পর্শিয়ার দুটি চরিত্র—মা ও মেয়ে। আমাকেও দুইভাবে পাওয়া যাবে— যুবক ও বুড়ো বয়সের চরিত্রে।

এর আগে স্পর্শিয়ার সঙ্গে রোজিনার পরিচালনায় ‘ফিরে দেখা’ করেছিলেন…
হ্যাঁ। স্পর্শিয়া খুবই ভালো অভিনেত্রী। আট বছর আগে আমরা প্রথম একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। এরপর ‘ফিরে দেখা’। সহশিল্পী হিসেবেও খুব ভালো স্পর্শিয়া। তাঁকে দিয়ে নির্মাতারা দারুণ সব চরিত্রে অভিনয় করাতে পারবেন। আমার কাছে তাঁকে মনে হয়েছে কাজপাগল অভিনেত্রী।

অনেক দিন হলো নতুন কোনো ছবির খবরে নেই আপনি…
‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবিটির কাজ শেষের দিকে। এখন একটু সময় নিচ্ছি। আসলে ভালো প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছি। ক্যারিয়ারটা এবার অন্য রকমভাবে গোছাতে চাই। অনেক তো অনুরোধের ছবি করলাম, এবার এমন ছবি করতে চাই, যেখানে নিজেকে চেনাতে পারব।

গত দুই-তিন বছরে চলচ্চিত্রের বাজেট-নির্মাণ-গল্প সব ক্ষেত্রেই বদল এসেছে। খোঁজখবর রাখছেন নিশ্চয়ই?
লক্ষ্য করছি সব। পরিবর্তনটা আরো ১০ বছর আগে আসা উচিত ছিল। তবে যেটা হয় সেটা ভালোর জন্যই হয়। আমাদের এখানে এখন গল্পের জন্য সময় দেওয়া হচ্ছে, নির্মাণব্যয় চার-পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ববাজারেও আমাদের ছবি সমাদৃত হচ্ছে। এগুলো ভাবলে খুব ভালো লাগে। আমি সারা জীবন ধৈর্যে বিশ্বাসী। ধৈর্য ধরে আছি, নিশ্চয়ই আমারও ভালো কিছু হবে।

ওটিটিতে কাজ করছেন না কেন?
চলচ্চিত্রই আমার সব। চলচ্চিত্রের বাইরে কিছু ভাবতে পারি না। চলচ্চিত্র নিয়ে পড়ে না থাকলে এত দিনে অনেক ওয়েব সিরিজ বা ছবিতে অভিনয় করতে পারতাম।

LEAVE A REPLY