উন্নত দেশগুলো মন্দা ঝুঁকিতে

মুদ্রাস্ফীতির কারণে আগামী বছর যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়তে পারে। ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর ব্যবস্থা নিতে না পারায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। বুধবার প্যারিসভিত্তিক অর্থনৈতিক থিঙ্কট্যাঙ্ক অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) বিশ্ব অর্থনীতির পূর্বাভাসে এমন আশঙ্কা করা হয়েছে। খবর গার্ডিয়ান, রয়টার্স ও এএফপির।

বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থাকে উন্নত দেশগুলোর নীতিনির্ধারকরা ‘সামান্য বেশি’ বলে ভুল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করায় দেশগুলো মন্দা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ওইসিডি আরও জানায়, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাজ্য মন্থর প্রবৃদ্ধির মুখে পড়বে। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের ওপর এটা প্রভাব ফেলবে।

৩৮টি দেশভুক্ত ওইসিডির অর্ধবার্ষিক পূর্বাভাসে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ‘স্থিতিশীল অথচ নিু প্রবৃদ্ধি’ বজায় থাকবে। ২০২৩ সালের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হবে। অবশ্য ছয় মাসে এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল-দেশটিতে এ বছর শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং আগামী বছর প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ হবে। এমন অনুমান সত্ত্বেও সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতির হার ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদহার কমাতে বাধ্য হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে-২০২৪ সালজুড়ে ঋণব্যয় ৫ দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশে পরিবর্তিত থাকবে। এজন্য দেশটিকে কার্যকর বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে-২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আবার কর কমাতে পারেন। তবে সুনাককে কর না কমানোর পরামর্শ দিয়েছে ওইসিডি। 
এর আগে মার্কিন বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেড ডেভিস রিসার্চের সম্ভাব্যতা মডেল অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মন্দার ঝুঁকি ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ। নেড ডেভিস রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে কিছু সময়ের জন্য একটি গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করছেন।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জরিপে অর্থনীতিবিদদের ৭৯ শতাংশ আশঙ্কা করছেন, ক্রমবর্ধমান দাম নিম্নআয়ের অর্থনীতির পরিবারগুলোয় সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও জ্বালানির দামের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ রয়েছে-জীবনযাত্রার উচ্চব্যয় পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতার কারণ হতে পারে।

LEAVE A REPLY