ছবি : সংগৃহীত
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য গাজার শেষ আশ্রয়স্থল রাফাতে ইসরায়েলি আক্রমণের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা আছে। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা জানান। তবে তারিখটি প্রকাশ করা হয়নি। এর মধ্যেই মিসরের রাজধানী কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বিশদ একটি প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। আমরা ক্রমাগত আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সব জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বিজয় অর্জন করা আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই বিজয় পেতে হলে আমাদের রাফাতে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে অবস্থানরত সন্ত্রাসী ব্যাটালিয়নদের নির্মূল করতে হবে।
এটা ঘটবে এবং এর জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ আছে।’ তবে তিনি তারিখের কথা উল্লেখ করেনি। গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি নিয়ে কায়রোতে আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন।
নেতানিয়াহুর মন্তব্যের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা এখনো রাফাতে ইসরায়েলি অভিযানের বিরোধিতা করে।
রাফাহ শহরে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা ইসরায়েলকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি যে রাফাতে পূর্ণ মাত্রার সামরিক আক্রমণ বা অভিযান বেসামরিকদের বিশাল ক্ষতির মুখে ফেলবে এবং শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে অন্তত ৩৩ হাজার ২০৭ জনে। পাশাপাশি এ সময়ে আহত হয়েছে ৭৫ হাজার ৯৩৩ জন। মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছে।
কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।
সূত্র : রয়টার্স