‘সমাজমাধ্যমে ব্যস্ত থাকা, ফলোয়ার বাড়ানো অভিনয়শিল্পীদের কাজ নয়’

চিত্রাঙ্গদা সিং

‘হাউসফুল ৫’, ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপটার’ এর পর এবার গৌতম ঘোষের ‘পরিক্রমা’ সিনেমায় সাংবাদিক চরিত্রে হাজির হচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং। গৌতম ঘোষের ‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনের ছায়া অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ছবিটি। 

‘পরিক্রমা’ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বললেন, সব সময় বাণিজ্যিক সাফল্য দেখে ছবি বানানো উচিত নয়। ছবি বাছাও উচিত নয়।

কিছু ছবি এমন থাকে যা বাস্তবতা তুলে ধরে। মানবিকতার কথা বলে। ‘পরিক্রমা’ তেমনই ছবি। এজন্যই ছবিটি করা।

২০০৫-এ সুধীর মিশ্রের ‘হাজারো খায়াইশে অ্যায়সি’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক। এর পর কেটে গেল ২০ বছর। দেখেছেন অনেক পরিবর্তন। সে প্রসঙ্গ টেনে চিত্রাঙ্গদা বললেন, অনেক বদল ঘটেছে।

সবচেয়ে বড় বদল, এখন সব কিছুই ভীষণ ‘কর্পোরেট’। দ্বিতীয় বদল, করোনা-পরবর্তী কালে ওটিটির রমরমা। তৃতীয় বদল, সমাজমাধ্যম। যা বিনোদন দুনিয়ার সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে। এখন অনেক কিছু নির্ধারিত হয় সমাজমাধ্যম দেখে।

সমাজমাধ্যমে প্রচুর অনুসরণকারী মানেই তিনি অভিনয় পারেন? এমন প্রশ্নে অভিনেত্রীর উত্তর, না, নেটপ্রভাবী মাত্রেই তিনি অভিনেতা বা ভালো অভিনয় পারবেন— হয় না। আমি কাউকে ছোট করছি না। হতেই পারে নেটপ্রভাবী সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন। কিন্তু লক্ষ অনুসরণকারী মানেই তিনি অভিনেতা— এটা নয়। যেমন, টম ক্রুজের অনুসরণকারীর সংখ্যা ৩০ মিলিয়ন। আমাদের দেশে চার-পাঁচ জন এমন আছেন যাঁদের ৭০ মিলিয়ন অনুসরণকারী! তাঁরা কি তা হলে টম ক্রুজ হয়ে গেলেন? নাকি তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন? 

যোগ করে তিনি আরো বলেন, সারাক্ষণ সমাজমাধ্যমে ব্যস্ত থাকা, স্টোরি পোস্ট করা, অনুসরণকারী (ফলোয়ার) বাড়ানো অভিনয়শিল্পীদের কাজ নয়। তাঁদের কাজ ভালো অভিনয়। পরিচালকদেরও বুঝতে হবে, অভিনয় আর সমাজমাধ্যমে প্রভাব বিস্তার এক নয়।

করোনার পরে সব কিছুই এখন ওটিটি-নির্ভর। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকও আসছে কম। এটা মাঝে মাঝে খারাপ লাগে চিত্রাঙ্গদার। তার মতে, এটাও বুঝতে হবে, ওটিটি আছে বলেই নানা ধরনের সিরিজ তৈরি হচ্ছে। এটাও একটি মাধ্যম।

সব রকমের কাজ করতেই পছন্দ করেন চিত্রাঙ্গদা। তবে থ্রিলার ভীষণ পছন্দ করেন, এরপর ড্রামা এবং রোমান্টিক ছবি তো তার ভীষণ প্রিয়। 

LEAVE A REPLY