লিভারপুলের জার্সিতে দুজন মিলে করেছেন একের পর এক গোল। দুজনের রসায়নে ইংলিশ ক্লাবটি পেয়েছে বেশ কিছু সাফল্য। সেই সাদিও মানে ও মোহাম্মদ সালাহ এখন মুখোমুখি একে অপরের। আফ্রিকান নেশনস কাপের ফাইনালে লড়বে তাঁদের দুই দেশ সেনেগাল ও মিসর।
রবিবার রাত ১টায় ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে এই দুই দেশ।
মিসর আফ্রিকান নেশনস কাপের রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন। তবে শেষ শিরোপাটি তাদের ২০১০ সালে। তখনো মোহামেদ সালাহ দলেই ঢোকেননি। আফ্রিকার সেরা হওয়ার এ আসরে একবারই ফাইনাল খেলেছেন তিনি। ক্যামেরুনিয়ানদের কাছে হেরে সেবার রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লিভারপুল তারকাকে।
ক্লাব সতীর্থ সাদিও মানেরও একই রেকর্ড জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। সেনেগালকে নিয়ে একবারই নেশনস কাপের ফাইনাল খেলেছেন তিনি। তবে শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি। নেশনস কাপের আজকের ফাইনালে দুজনই তাই একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়োন্ডের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে আজ শেষ হাসি হাসবেন কে, সেটিই দেখার। লিভারপুল বস ক্লপ দুজনকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘একজনের কিন্তু বুক ভাঙবে। তবে যে জিতবে তাঁর জন্য হবে অনন্য এক অর্জন। ’
শুধু মানে নয়, সেনেগালেই কখনো যায়নি এই শিরোপা। ২০০২-এর পর গত আসরেই তারা আবার ফাইনাল খেলে। রিয়াদ মাহারেজের আলজেরিয়ার কাছে হারতে হয় তাদের। তবে টানা এই দ্বিতীয় ফাইনালে সেটিকেই অনুপ্রেরণা মানছেন মানে, ‘গতবারের অভিজ্ঞতা এবার আমাদের বড় সম্পদ হবে। ’ সালাহ সতীর্থকে জানিয়েছেন তাঁরা ফাইনালের জন্য তৈরি, ‘এই টুর্নামেন্টে অনেক কঠিন পরিস্থিতি সামলে আমরা ফাইনালে। এখানেও হতাশ করব না। ‘
