দেশেই দেশের বাইরে খেলার অনুভূতি হচ্ছিল লিটনের

ছবি : মীর ফরিদ

ম্যাচের আগের দিনের বৃষ্টিতেই আয়ারল্যান্ডের কোচ আইনরিখ মালানের কাছে মনে হচ্ছিল সিলেটের কন্ডিশনও ‘আইরিশ’ হয়ে গেছে। আর দ্বিতীয় ওয়ানডের দিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নামার পর বাংলাদেশের ওপেনার লিটন কুমার দাসের কাছে দেশের উইকেটই যেন হয়ে উঠেছিল ‘বিদেশের ২২ গজ’!

সোমবার সকাল থেকেই সিলেটের আকাশ মুখ গোমড়া করে ছিল। ম্যাচ শুরুর সময়ও অবস্থা বদলায়নি। পেস বোলারদের জন্য আদর্শ কন্ডিশন যখন, তখন টস জিতে বোলিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিও। এই সিরিজের শুরু থেকেই তিন পেসারের সজ্জা নিয়ে নামা বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালও নিশ্চয়ই টস জিতলে একই সিদ্ধান্ত নিতেন। কিন্তু হারায় শুরুর সংগ্রামে পড়তে হয় তামিম-লিটনের ওপেনিং জুটিকে।

লিটনকে একটু বেশিই যেন ভুগতে হচ্ছিল। প্রথম ওভারেই তাঁর বিপক্ষে এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন হয়। বিশেষ করে গ্রাহাম হিউমের বলে রান করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। কয়েকবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ডানহাতি পেসারের দুই ওভার মেডেনও দেন। পরে অবশ্য অষ্টম ওভারে হিউমকে মেরেই হাত খুলতে শুরু করেন লিটন। প্রথম বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে লংঅফ দিয়ে মারেন ম্যাচের প্রথম ছক্কা। পরের বলেও একইভাবে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মিডউইকেট দিয়ে মারেন বাউন্ডারি। তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে তামিম রানআউটে কাটা পড়ার পর আবার আইরিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে গুটিয়ে যেতে হয় লিটনের পাশাপাশি নাজমুল হোসেন শান্তকেও। তামিমের বিদায়ের পর টানা ৮ ওভার কোনো বাউন্ডারিই মারতে পারেননি এই দুই ব্যাটার। এক-দুই নিয়ে সেই সময় দলের রানের চাকা সচল রাখছিলেন তাঁরা।

শেষপর্যন্ত ওই কঠিন সময় পার করেই লিটন ৭১ বলে খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এলে ব্যাটিংয়ের শুরুর সময়ের সংগ্রামের কথাও উঠে আসে তাঁর কথায়, ‘শুরুর দিকে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন ছিল। অনেকদিন পর মনে হয় বাংলাদেশে এমন ক্রিকেট খেললাম, যেটিতে দেশের বাইরে খেলার অনুভূতি হচ্ছিল। তাও আবার এরকম কন্ডিশনে। আমাদের এখানে তো এখন শীত না। তবু সামারের ভেতরেই এরকম কন্ডিশনে খেলতে হলো এবং বল মুভ করলো। হয়তো একদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণেই ওরা (আইরিশরা) সুবিধা পেয়েছে। খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।’

LEAVE A REPLY