হামজা ও দিয়াবাতের ব্যাপারে তৎপর বাফুফে

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপানোর ইচ্ছার কথা বারবার শুনিয়েছেন সোলেমান দিয়াবাতে। কিন্তু বিদেশি ফুটবলার হিসেবে এদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যে প্রাথমিক শর্ত সেটা পূরণ না হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারছিল না। অবশেষে চলতি মাসে দিয়াবাতের বাংলাদেশে কাটানোর পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। ফলে মালির এই ফরোয়ার্ডকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বাফুফে।

২০১৯ সালের মে মাসে মোহামেডানের জার্সিতে প্রথম খেলতে নামেন দিয়াবাতে। তখন থেকে এই ক্লাবেই খেলে যাচ্ছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার। সাদা-কালো জার্সিতে নিয়মিত গোল করে নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন তিনি। একবার জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বেশি গোলের পুরস্কার।

যেকারণে সমর্থকদের চাওয়া, দিয়াবাতেকে দিয়ে জাতীয় দলের গোল খরা হয়তো কাটতে পারে। বাফুফেও তার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। যা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন,’দিয়াবাতের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। তার কাছ থেকে জানার ছিল যে, সে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে পারবে কিনা।

সে বলেছে পারবে। এখন আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যাতে তার বাংলাদেশে অবস্থানকালীন সময়টা সঠিকভাবে জানতে পারি। ফিফার আবেদনের জন্য এটা অন্যতম একটি কারণ।’ এর আগে ২০২১ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে।

কিন্তু তার ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশনের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় নাগরিকত্ব পেতে দেরি হয়েছিল। দিয়াবাতের ক্ষেত্রে তেমনটা না হলে দ্রুতই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যেতে পারেন তিনি।

ইংলিশ ক্লাব লিস্টার সিটিতে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করতে সাহায্য করছে বাফুফে। কয়েকদিন আগে ইংল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে পাসপোর্ট করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন হামজা। পরবর্তীতে বাফুফে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। ফুটবল ফেডারেশন থেকে ইতোমধ্যে দূতাবাসে যোগাযোগ করে তার অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করেছে। ইমরান হোসেন জানিয়েছেন,’আমরা সেখানকার দূতাবাসে যোগাযোগ করেছি। রাষ্ট্রদূত নিজে হামজার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।’ সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোকে লক্ষ্য রেখেই দিয়াবাতে ও হামজাকে কাজ করছে বাফুফে।

LEAVE A REPLY