মোগাদিসুর কাছে আল-শাবাবের সাম্প্রতিক হামলার পর সোমালিয়ায় সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে তুরস্ক। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল-শাবাব এরই মধ্যে রাজধানী মোগাদিসুর দক্ষিণে গ্রামগুলি দখল করেছে। সোমালি বাহিনীর জন্য এই অঞ্চলগুলো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ; কারণ তারা গাড়ি বোমা হামলাসহ সন্ত্রাসী হামলা থেকে রাজধানীকে রক্ষা করার জন্য একটি বাফার জোন হিসেবে কাজ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সপ্তাহে তুরস্ক সোমালিয়ায় প্রায় ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে, যা তার স্বাভাবিক সামরিক কর্মীদের প্রায় দ্বিগুণ।
এসব বাহিনীকে তুর্কি সামরিক ঘাঁটি, তুর্কসোম রক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি সশস্ত্র ড্রোন পরিচালনা এবং মোগাদিসু বন্দর রক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের মানবিক মিশনের অধীনে সোমালিয়ায় প্রথম সফরের পর থেকে তুরস্ক মোগাদিসুতে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বজায় রেখেছে। এরপর দেশ দুটির মধ্যে একটি বিস্তৃত বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গভীর হয়েছে।
তুর্কি কোম্পানিগুলো মোগাদিসুর বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর উভয়ই পরিচালনা করে। অন্যদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল সংস্থাগুলো তুর্কি নৌবাহিনীর সহায়তায় স্থল ও সমুদ্রে জ্বালানি অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করে।
আঙ্কারা আনুষ্ঠানিকভাবে সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমা রক্ষা এবং সোমালিয়ার উপকূলে মৎস্য সম্পদ আহরণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গত মার্চ মাসে আল-শাবাবের বেশ কয়েকটি কৌশলগত অগ্রগতির পর সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ আঙ্কারা সফর করেন এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন, যাতে কেবল সোমালিয়ার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা অপ্রকাশিত।