মুসলিম বলিউড অভিনেতা জাহির ইকবালকে বিয়ে করে মাঝে মধ্যেই কটাক্ষের মুখে পড়েন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। তার বিয়ের সময় ‘লাভ জিহাদ’ প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়। হিন্দু হয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় তাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হয়েছে কিনা— এমন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে আবুধাবিতে যান সোনাক্ষী। সেখানে মসজিদে নাকি জুতা পরে ঘুরেছেন তারা? এতে কটাক্ষের মুখে পড়ায় জবাব দিলেন শত্রুঘ্নকন্যা।
আবুধাবির শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে স্বামী জাহির ইকবালের সঙ্গে ঘুরতে দেখা যায় সোনাক্ষীকে। সেখান থেকে একগুচ্ছ ছবি ও একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে নেন অভিনেত্রী। তার পরনে সবুজ জংলা ছাপ চুড়িদার, মাথা ঢাকা ওড়না দিয়ে। পাশে স্বামী জাহিরকে দেখা যায় প্যান্ট-শার্ট ও রোদচশমা পরে। কিন্তু দুজনের পায়ে জুতা দেখে অনেকেই সমালোচনা শুরু করেন।
ধর্মীয় স্থানে কী করে জুতা পরে ঢুকলেন এ তারকা দম্পতি? সামাজিক মাধ্যমে এমন অনেকে প্রশ্ন করে লিখেছেন—মসজিদে জুতা পরে ঘোরার নিয়ম নেই। এমন একাধিক মন্তব্য দেখে জবাব দিলেন সোনাক্ষী। তিনি লিখেছেন—সে কারণেই জুতা পরে ঢুকিনি। নির্দিষ্ট জায়গায় জুতা খুলে ঢুকেছিলাম। এটুকু আমরা জানি। হয়ে গেছে ট্রল করা, এবার জীবনে এগিয়ে যান। তবে মসজিদে ঘুরে শান্তি পেয়েছেন তিনি, সে কথাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবাল গত বছরের ২৩ জুন একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন। এ তারকা দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাদের পরিবারের একান্ত ঘনিষ্ঠরা। যদিও এ বিয়ে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। গুজবও ছড়িয়েছিল, মেয়ের ভিন্নধর্মী জাহিরকে বিয়ের সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন তার বাবা অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা। শোনা গিয়েছিল এটা নিয়ে নাকি তাদের ‘রামায়ণ’-এ ঝড় বয়ে গিয়েছিল। যদিও গুঞ্জন উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত মেয়ের বিয়েতে হাজির ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তবে বোনের বিয়েতে ছিলেন না সোনাক্ষীর দুই ভাই লব ও কুশ।
সাত বছর প্রেমের পর এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে কৌতূহল রয়েছে— সোনাক্ষী কি চুপিচুপি জাহিরকে ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়েছেন? Hauterrfly-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্নকন্যা বলেছিলেন, আমরা ধর্ম নিয়ে কখনো ভাবিনি। আমরা দুজন মানুষ একে অপরের প্রেমে পড়েছিলাম, যারা একে অপরকে বিয়ে করতে চেয়েছিল, আর আমরা ঠিক এটাই করেছি। এ বিয়েতে কেউ কারও ধর্ম একে অপরের ওপর চাপিয়ে দেয়নি। বরং ও ওর ধর্ম আমার ওপর চাপিয়ে দেয়নি, আমিও আমার ধর্ম ওর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি না। আমরা কখনো ধর্ম নিয়ে আলোচনাও করি না। আমরা এটা নিয়ে ভাবিও না। বরং আমরা একে অপরের সংস্কৃতি, ধর্মীয় রীতিনীতিকে শ্রদ্ধা করি। ও ওর ধর্মের রীতিনীতি মেনে চলে, আর আমি আমার।











































