টানা বর্ষণে ভারতের তিন রাজ্যে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু

উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে ভারি বৃষ্টির জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত থেকে এক টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে রাজস্থান, হিমাচল, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ অংশ। এই রাজ্যগুলোতে সোমবারও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে দিল্লিতেও।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারি বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি রাজস্থানে। সেই রাজ্যের করাউলি ও হিন্দুয়ানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

রাজধানী জয়পুরের নিচু এলাকাগুলো পানির নিচে। ফুঁসছে নদীগুলো।

রাজস্থানে ভরতপুরে নদীতে নেমে গোসল করার সময় ডুবে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। ঝুনুঝুনুতে পুকুরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে তিনজন।

করাউলিতে বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোর ও এক প্রবীণ। এ ছাড়া জয়পুরে জলপ্রপাতের কাছে ঘুরতে যাওয়া পাঁচজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি সামলাতে বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা।

অন্যদিকে পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে প্রবল জলস্রোতে গাড়ি ভেসে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে এক পরিবারের আট জনসহ মোট ৯ জনের। সেই সঙ্গে নিখোঁজ রয়েছে দুজন।

হিমাচল প্রদেশের উনায় আকস্মিক বন্যায় ভেসে গিয়ে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারি বৃষ্টি হচ্ছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও। হরিয়ানার যমুনানগর জেলার সোম নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, দিল্লি লাগোয়া গুরুগ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও হাঁটুসমান, কোথাও গোড়ালি সমান পানি জমেছে। নেটিজেনদের অনেকে রবিবার রাত থেকেই হরিয়ানার পানির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এটা গুরুগ্রাম নয়, জলগ্রাম হয়ে গিয়েছে।’

এদিকে রবিবারই কর্ণাটকে তুঙ্গভদ্রা নদীর বাঁধের একটি গেট ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের এলাকায় বন্যার চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়। সোমবারও কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

LEAVE A REPLY