আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত জুলাইয়ে ঘরের মাঠে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার পর থেকেই মাঠের বাইরে এবাদত হোসেন। হাঁটুর অস্ত্রোপচার করানোর পর এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন বাংলাদেশি পেসার। গত ১৩ মাস ধরে খেলার বাইরে থাকা এবাদতের অপেক্ষা খুব শিগগিরই শেষ হতে যাচ্ছে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এবাদত ফেরার কথা রয়েছে।
এখনো শতভাগ সুস্থ না হওয়ায় স্কোয়াডে থাকবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে দলের সঙ্গে ভারতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কোচ, ফিজিও ও ট্রেনারদের পর্যবেক্ষণে থাকতেই তাকে দলের সঙ্গে নেওয়া রাখা হবে।
আজ মিরপুরে নিজের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে এবাদত বলেছেন,‘আমাকে ফিজিও, ট্রেনার ও ফাস্ট বোলিং কোচ যে প্রোগ্রাম দিয়েছেন, সেটা ফলো করছি।
এখনো ১০০% এফোর্ড দিয়ে বোলিং করার পারমিশন দেয়নি। আমি ৭০-৮০%, এরকম কাছাকাছি এফোর্ডে কাজ করছি। আমাকে হয়তো ভারত সফরে দলের সঙ্গে নেওয়া হবে। সেখানে বোলিং সাপোর্টটা পাব, ডাক্তার, ফিজিও, ট্রেনার…সব সাপোর্ট পাব।
বাংলাদেশ দলের মনিটরিংয়ে থাকবে। এ জন্যই হয়তো আমাকে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে আমার ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখবে, এরপর সিদ্ধান্ত নেবে।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বলেই বিরাট কোহলিকে দুইবার আউট করার বিষয়টিও উঠেছে। শুধু কোহলি নন, ক্যারিয়ারে কোন কোন ব্যাটারকে আউট করেছেন তা ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন এবাদত।
তিনি বলেছেন,‘বিরাট কোহলিকে দুইবার আউট করেছি, এটা আমার গর্বের ব্যাপার। আমি যত উইকেটই নিয়েছি, বেশিরভাগই বড় বড় উইকেট। আমার ডায়েরি খুললে ভালোই লাগে। এদের আমি আউট করেছি। ভালোই লাগে দেখতে। দেখা যাক, ভারত যাই, যদি সুযোগ হয় তাহলে খেলার চেষ্টা থাকবে।’
দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্বাক্ষী হওয়া হয়নি এবাদতের। তা নিয়ে আক্ষেপ ঝড়েছে তার কণ্ঠে। ৩০ বছর বয়সী পেসার বলেছেন,‘অবশ্যই আফসোস হয়। আমি ১৩ মাস খেলার বাইরে। এমন একটা চোটে পড়েছি, সুস্থ হতে অনেক লম্বা সময় নিয়েছে। খেলোয়াড় হিসেবে বাইরে থাকা অনেক কষ্টের। মনে হয় না বেশীদিন লাগবে সুস্থ হতে। আমিও খেলব। ভালো করার চেষ্টা করব।’
গত কয়েক বছর ধরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন বাংলাদেশি পেসাররা। সতীর্থদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এবাদত বলেছেন,‘আলহামদুলিল্লাহ। খুবই ভালো লেগেছে। আমরা গত তিন-সাড়ে তিন বছর ধরে ফাস্ট বোলিং ডমিনেটিং যে মানসিকতা, সেটা ডেভলপ করতে পেরেছি। এর পেছনে কোচদের অনেক অবদান। ফাস্ট বোলার যারা আছেন, তাঁরাও অনেক কষ্ট করেছে। এটার সুফলটা পেতে শুরু করেছি ২০২২ সাল থেকে। এটা আশা করি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। দোয়া করবেন যেন ফাস্ট বোলাররা বাংলাদেশের জন্য আরও সাফল্য বয়ে আনতে পারে।’