ফাইল ছবি
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেও হাসি নেই ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের মুখে। কারণ মাঠে নেমেছিলেন এক চিরস্মরণীয় শোক বয়ে নিয়ে—সাবেক সতীর্থ দিয়েগো জোতার মৃত্যু। বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২৮ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড এবং তার ছোট ভাই আন্দ্রে সিলভা। শনিবার পর্তুগালে তাদের সম্মিলিত শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
জোতার মৃত্যুর মাত্র দুই দিন পর মাঠে নামেন তার পাঁচ বছরের সতীর্থ আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। নিউ জার্সিতে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে। ম্যাচে ফ্রান গার্সিয়ার গোলের অসাধারণ অ্যাসিস্ট দিয়ে ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখেন এই ইংলিশ ডিফেন্ডার। খেলার পর ডিএজেএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবেগে ভেসে যান আলেকজান্ডার-আর্নল্ড।
তিনি বলেন, ‘জোতার মৃত্যুর খবর নেওয়া সত্যিই কষ্টকর ছিল। দলের জন্য পারফর্ম করাটা খুব কঠিন হলেও, আমি জানতাম যে আমাকে খেলতে হবে। ওর জন্যই যেন আমি খেলছিলাম। আমি জানি, ও আমার পাশে ছিল।
’
আলেকজান্ডার-আর্নল্ড আরো বলেন, ‘জোতা এমন একজন মানুষ, যার উপস্থিতিতেই চারপাশ আলোকিত হয়ে যেত। ড্রেসিংরুমে ওর সঙ্গে কাটানো পাঁচ বছর—স্মৃতিতে ভরা। অসাধারণ একজন মানুষ, দুর্দান্ত খেলোয়াড়। এমন মানুষকে কখনোই ভোলা যায় না।’
তিনি জানান, জোতা ও তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার।
‘আমি ওর স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বাবা-মা—সবাইকে চিনি। এভাবে এমন খবর শুনে জেগে ওঠা…সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমন কিছু কখনো ভাবিনি।’
বিশ্ব ফুটবলে ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া। কিলিয়ান এমবাপ্পে জোতার সম্মানে গোল উদযাপন করেন তার লিভারপুলের ২০ নম্বর জার্সির ইঙ্গিত দিয়ে। পিএসজির ওসমান দেম্বেলেও শ্রদ্ধা জানান জোতার প্রিয় ভিডিও গেম ‘ফিফা’র উদযাপন অনুকরণ করে।
