পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করবে আদানি গ্রুপ

কলকাতায় আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীতে কিরণ আদানির হাতে বন্দর নির্মাণের অনুমতিপত্র তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকাঅ-অ+

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে দেশটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি। বুধবার বিজয়া সম্মেলনীতে এ সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অনুমোদনের দলিলপত্র তুলে দিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫ হাজার কোটি রুপি।

কলকাতার নিউটাউনের ইকো পার্কে বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীতে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ছেলে কিরণ আদানির হাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্য সরকারের দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর এই বিনিয়োগ যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গের শিল্পবাণিজ্য মহলের দাবি, তাজপুর সমুদ্রবন্দর তৈরি হলে জলপথে বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি হলদিয়া বন্দরের ওপর থেকে চাপ কমবে।

সূত্রের খবর, অনুমতিপত্র হাতে পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বিষয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন কিরণ আদানি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাজপুরে বন্দর নির্মাণ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

রাজ্য সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কথায়, ‘শিল্পপতিদের সামনে আদানি গোষ্ঠীর হাতে অনুমতিপত্র তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চাইলেন, রাজ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। চাইলে অন্য শিল্পপতিরাও বিনিয়োগ করতে পারেন। রাজ্য সরকার সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। ’

উল্লেখ্য, পনেরো হাজার কোটি রুপি ব্যয়সাপেক্ষ এই বন্দরের প্রাথমিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করবে রাজ্য সরকার। অবকাঠামো গড়তে আরো দশ হাজার কোটি রুপি খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় পঁচিশ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগে তৈরি হবে নতুন এই বন্দরটি।

তাজপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই বন্দরটি তৈরি হলে প্রত্যক্ষভাবে পঁচিশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের। ডানকুনি ও রঘুনাথপুর শিল্পনগরী থেকে এই বন্দরে যাতায়াত খুব সুবিধাজনক হবে বলেই কর্মকর্তাদের দাবি। চলতি বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পপতি গৌতম আদানি তাজপুর বন্দর নিয়ে তাঁর আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছিলেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

LEAVE A REPLY