এবার ভারতে লিফটে নারী চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে যখন রাত জাগছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের, তখন শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে ফের এক হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববারঘটনাটি ঘটেছে রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে। হাসপাতালের অঙ্কোলজি বিভাগের ওই মহিলা জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার তখন ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় হাসপাতালের লিফ্‌টেই এক ব্যক্তি তার শ্লীলতাহানি করছেন। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববারের ওই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। পরে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার দাবি জানান জুনিয়ার ডাক্তারেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়ার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তারা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, হাসপাতালের প্রতিটি লিফ্‌টে অপারেটর নিয়োগ করা হবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে সশস্ত্র পুলিশকর্মী থাকবেন। হাসপাতাল চত্বরে অন্তত ১০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন রাখা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরজি করের ঘটনার পর থেকেই দেশব্যাপী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চিকিৎসকেরা। বার বার উঠে এসেছে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থলের দাবি। এমনকি ৯ অগস্ট আরজি করের ঘটনার পরেও কখনো মুম্বই, কখনো উত্তরাখণ্ড, কখন জম্মুতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠে এসেছে। আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করার কারণ হিসেবেও জানিয়েছিল, এটি কোনো একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের মন্তব্য ছিল, এটি গোটা ভারতের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও পদ্ধতিগত সমস্যার বিষয়। ওই কারণে মামলাটিতে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত।

কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টিও উঠে এসেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রথম দিনের শুনানিতে। চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকলের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

LEAVE A REPLY