সৌ্ম্যের সেলফিতে ফ্রেমবন্দি রংপুরের দর্শক-সমর্থকরা। ছবি : আদর রহমান, রংপুর থেকে
মাঘের দুপুর। কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ফাঁকে এক ঝলক সোনালী রোদের দেখা মেলে। প্রকৃতির এমন নৈসর্গিক দৃশ্যে উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় ২০১৭ বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন ও চলতি বিপিএলে ৮টি ম্যাচে অংশ নিয়ে আটটিতে জেতা রংপুর রাইডার্স।
সঙ্গে থাকা গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) ট্রফি উচিয়ে খোলা গাড়িতে নগর প্রদক্ষিণ, এক অন্যরকম উৎসবে রূপ নেয় রংপুর নগরজুড়ে। ক্রিকেটপ্রেমী, শুভাকাঙ্ক্ষী আর দর্শকরা হাত নেড়ে অভিবাদন জানায় রংপুরের খেলোয়াড়দের। কেউ নিয়েছেন প্লাকার্ড, কেউ নিয়েছেন টিমের পতাকা, আবার কেউ কেউ পরেছেন দলের জার্সি। রংপুরবাসীর এমন আবেগ আর উল্লাস উচ্ছ্বাসে আপ্লূত হন খেলোয়াড়রা।

এর আগে সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে রংপুর স্টেডিয়ামে আসেন রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফল, ব্যাটার সাইফ হাসান, অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ডানহাতি পেসার নাহিদ রানা, অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান। সঙ্গে ছিলেন বিদেশি ক্রিকেটার স্টিভেন টেলর, খুশদিল শাহ এবং হেড কোচ মিকি আর্থার।
সেখান থেকে ছাদখোলা গাড়িতে শহর ঘুরে বেড়ানোর কথা থাকলেও লাখো দর্শকদের উচ্ছ্বাসের ঢেউ আচরে পড়ে স্টেডিয়ামের আশপাশে।
আধঘন্টা স্টেডিয়াম অফিস কক্ষে অপেক্ষা শেষে দর্শকের ভীড় ঠেলে রংপুর পুলিশ লাইন্স, সিটি বাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি গিয়ে শহর জুড়ে উল্লাসে অংশ নেন তাঁরা।
এ সময় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার দর্শক-শুভাকাঙ্ক্ষী হাত নেড়ে অভিবাদন জানান রাইডার্স ক্রিকেটার, কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের। খেলোয়াড়রাও ট্রফি উঁচিয়ে সমর্থকদের উষ্ণ অভিবাদনের জবাব দেন। বিকাল সাড়ে ৪ টায় আবারো রংপুর স্টেডিয়ামের জনসমুদ্রে আসেন তাঁরা। সেখানে সমর্থকদের জার্সি উপহার দেন নুরুল-সৌম্যরা।
বসুন্ধরা গ্রুপের এমন আযোজনে খুশি রংপুরবাসী।