বাংলাদেশের গ্রুপ থেকে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা

৫১ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার

বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ও নেদারল্যান্ডস। যেখানে ডাচদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেল তারা। সমান দুই ম্যাচ খেলা নেদারল্যান্ডস ও এক ম্যাচ কম খেলা বাংলাদেশের অর্জন দুই পয়েন্ট।

নেপাল একটি ম্যাচ খেললেও জয়ের দেখা পায়নি। দুটি ম্যাচ খেলে জয়বঞ্চিত শ্রীলঙ্কা। পাঁচ দলের এই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল যাবে সুপার এইটে।

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করে নেদারল্যান্ডস।

ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার মিচেল লেভিট আউট হলে বিপাকে পড়ে ডাচরা। পাওয়ার প্লেতে ২০ রান তোলা দলটি হারিয়ে বসে আরো দুই উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের তোপের মুখে পঞ্চাশ রানের কোটা ছোঁয়ার আগে ৬ উইকেট পড়ে যায় নেদারল্যান্ডসের। 

সেখান থেকে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫৪ রান যোগ করেন সাইব্র্যান্ড এনগেলব্রেখট ও লোগান ফন বিক।

৪৫ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪০ রান করা এনগেলব্রেখটকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ওটনিল বার্টম্যান। পরের বলে টিম প্রিঙ্গলকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান এই পেসার। যদিও হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাননি, তবে একই ওভারের শেষ বলে লোগানেরর উইকেটটিও তুলে নেন বার্টম্যান। ডানহাতি এই পেসার ১১ রানে নেন ৪ উইকেট। মার্কো ইয়ানসেন ও এনরিখ নরকিয়া নেন ২টি করে উইকেট।

১০৪ রানে তাড়ায় নেমে শুরুতে বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। রিজা হেনড্রিকসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে কোন বল খেলার আগে রান আউট হন কুইন্টন ডি কক। পরের ওভারে রিজা ফেরেন ৩ রান করে। অধিনায়ক এইডেন মারক্রামও খাতা খুলতে পারেননি। এরপর হেনরিখ ক্লাসেন ৪ রান করে আউট হলে ১২ রানে চার উকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা।

যদিও সেই বিপদ স্থায়ী হতে দেননি ত্রিস্টান স্টাবস ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে এই দুজন জমা করেন ৬৫ রান। স্টাবস ৩৩ রান করে আউট হলেও ফিফটি করেন মিলার। ৭ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে ৫১ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। 

LEAVE A REPLY