ছবি : এএফপি
প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো অনেক গ্রহাণু আছড়ে পড়ে পৃথিবীতে। এর মাঝে কোনোটি যদি আকারে সামান্য বড় হয়, তবে সেটা সমগ্র মানবজাতির জন্যই দারুণ হুমকি হিসেবে দেখা দেয়। পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে থাকা নিকটবর্তী গ্রহাণুগুলো থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে চীন সম্প্রতি একটি ‘এসকর্ট প্লাস ইমপ্যাক্ট প্লাস এসকর্ট’ কার্যপ্রণালী অবলম্বন করবে বলে জানা গেছে। একই কাজ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের নাসা ও ইউরোপের ইএসএ।
চায়না ডেইলির খবরে আরো জানানো হয়, ২০১৮ সালেই চীন আন্তর্জাতিক গ্রহাণু সতর্কীকরণ নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে এবং গত ৫ সেপ্টম্বর ফিলিপাইনের আকাশে প্রবেশ করা ২০২৪ আরডাব্লিউ-১ গ্রহাণুটিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। চীন তার উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে গ্রহাণু থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে হাত মেলাতে ইচ্ছুক।
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ আরডাব্লিউ১ নামের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, যেদিন চীন তার গ্রহাণু প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা ঘোষণা করে। চীনের এমন পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতাও সেদিন প্রমাণিত হয়।
বেশিরভাগ গ্রহাণুর ক্ষতির ঝুঁকি যথেষ্ট কম, কারণ তাদের অধিকাংশই বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর মুহূর্তেই পুড়ে যায়। ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কায় অবতরণকারী একটি গ্রহাণুর কারণে একটি জঙ্গলে আগুন লেগে প্রায় ৮ কোটি গাছ পুড়ে গিয়েছিল।
সূত্র: চায়না ডেইলি