ভারতের দার্জিলিংয়ে ভারি বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪

ছবিসূত্র : রয়টার্স।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখার সাথে সাথে দার্জিলিং জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে, এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ এবং হাজার হাজার পর্যটক পাহাড়ি এলাকায় আটকা পড়েছেন। পাশাপাশি বাড়ি, সড়ক ও সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে।

প্রতিবেশী নেপালেও এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫০ এ পৌঁছেছে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা সোমবার জানান, অনেক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

পুনর্বাসন ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে দূরবর্তী এলাকা থেকে বিস্তারিত তথ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্টে বলেন, ‘দুটি লোহার সেতু ধসে গেছে, বহু সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিশাল এলাকা পানিতে ডুবেছে।’ তিনি আরো জানান, চা বাগানের জন্য পরিচিত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে।

কলকাতার প্রাদেশিক আবহাওয়া প্রধান এইচ আর বিশ্বাস জানান, দার্জিলিংয়ে শনিবার ও রবিবারে অত্যন্ত ভারি বর্ষণের পর আরো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারি বৃষ্টির কারণে ব্যালাসন নদীর ওপরের একটি লোহার সেতু ভেঙে পড়েছে। ফলে পাহাড়ি শহর মিরিক ও সমতলের সিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগকারী রাস্তার যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি অনেক রাস্তা ধসে গেছে।

স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জানান, বড় পরিমাণে ধ্বংসাবশেষ সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্ধারকারীরা দূরবর্তী অনেক স্থানে পৌঁছাতে পারছেন না।

হিমালয় অঞ্চলের পাহাড়ি শহর দার্জিলিং চায়ের জন্য বিখ্যাত। কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে বহু পর্যটক এখানে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী ব্যানার্জি পর্যটকদের অনুরোধ করেছেন যেন তারা নিরাপদে উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন। 

নেপালের আর্মড পুলিশ ফোর্সের একজন মুখপাত্র জানান, ভারতের সীমানা ঘেঁষা ইলাম জেলায় পৃথক পৃথক ভূমিধসের ঘটনায় এরই মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছেন।

জেলা কর্মকর্তা ভোলানাথ গুরাগাই জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা কাদা ও ধ্বংসাবশেষের মধ্যে মানুষকে উদ্ধারের জন্য খোঁজাখুঁজি করছেন এবং বহু গ্রামে ধসে যাওয়া বাড়ি ও সড়ক পরিষ্কার করছেন।

সূত্র : রয়টার্স, দ্য হিন্দু

LEAVE A REPLY