তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে করমর্দন (হ্যান্ডসেক) করেছেন আমির খান। সম্প্রতি এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল তুরস্ক। ওই সময়ে ছড়িয়ে পড়ে আমির খানের এই ছবি। বিষয়টি নিয়ে রোষানলে পড়েন বলিউড তারকা। এমনকি তার আসন্ন ‘সিতারে জামিন পার’ ছবিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে।
এছাড়া ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দেরিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন আমির খান। তার এ বিষয়েও অনেকে ক্ষুণ্ন ছিলেন। একই সময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমিরের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা আরও জমে উঠে।
তবে সমালোচনাকারীদের কঠিন জবাব দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, ছবিটি ২০১৭ সালে তোলা হয়েছিল। ওই সময়ে আমার দেশের সরকারও তুরস্ককে সমর্থন করত।
এছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ইমাইন এরদোগানের সঙ্গেও আমিরের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবি তোলা হয়েছিল ২০২০ সালে। তখন ‘লাল সিংহ চড্ডা’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতা।
আমির খানের বক্তব্য, একজন তারকা হিসেবে যখন অন্য দেশে যাই, তখন নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। তাই আমাকে যদি চায়ের জন্য আমন্ত্রণ জানান, তাকে প্রত্যাখ্যান করা মোটেই ভালো দেখায় না।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে তুরস্ককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। বন্ধ হয়েছে ওই দেশের সঙ্গে ভারতের সব ধরনের যোগাযোগ। বিষয়টিতে সমর্থন জানিয়েছেন আমির।
অভিনেতা বলেছেন, আমাদের দেশ সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। তুরস্ককে সমর্থন করা আমাদের একেবারেই উচিত নয়। আমাদের থেকে সাহায্য পাওয়া সত্ত্বেও তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। সেটা তো ঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, ২০ জুন বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে আমিরের ছবি ‘সিতারে জামিন পার’। ছবিতে আমিরের বিপরীতে দেখা যাবে জেনেলিয়া ডিসুজাকে।