ফিফটি করার পথে মাহমুদ উল্লাহর শট।
মাঠ ছাড়ার সময় মেহেদী হাসান মিরাজের শরীরী ভাষায় হতাশা ফুটে উঠেছিল। মাথা নেড়ে নেড়ে যেন মনে মনে বলছিলেন এটা আমি কি করলাম। তিন তিনবার জীবন পেয়েও সেঞ্চুরিটা মিস করলাম।
জি, আজ সেন্ট কিটস ওয়ার্নার পার্কে তিনবার ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছেন মিরাজ।
মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই রোমারিও শেফার্ডের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন। পরে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। আর বাকি দুইবার কেসি কার্টিকে ১ ও ৩১ রানের সময় ক্যাচ দিয়েও জীবন পান বাংলাদেশের অধিনায়ক। তিনবার জীবন পেয়ে ফিফটিটা করলেন বটে, কিন্তু সেঞ্চুরিটা পেলেন না।
অথচ, ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটির ৭৪ রানে ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার দারুণ সুযোগও ছিল তার সামনে।
জীবন পাওয়ার পর দারুণভাবেই ব্যাটিংটা করছিলেন মিরাজ। সঙ্গে সেঞ্চুরি করার মতো পর্যাপ্ত ওভারও ছিল তার সামনে। জেডন সিলসের বলে যখন শেরফন রাদারফোর্ডকে ক্যাচ দিলেন তখনও ১২ ওভার বাকি ছিল।
ইনিংস সাজান ৬ চার ও ১ ছক্কায়। সে যাই হোক মিরাজের এই ইনিংসের ওপর ভর করেই বাংলাদেশ বড় সংগ্রহের ভিত পায়।
মিরাজ না পারলেও ইনিংসের শেষটা দারুণভাবে করেছেন জাকের আলি অনিক ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৯৬ রানের জুটি গড়ে দলকে ২৯৪ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে ৬টি। ১২০.০০ স্ট্রাইকরেটে ক্যারিয়ার সেরা ৪৮ রান করেছেন জাকের। ইনিংসটি সাজান সমান ৩টি করে ছক্কা-চারে। অন্যদিকে সমান ৩টি করে চার-ছক্কায় মাহমুদ উল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। ক্যারিয়ারের ৩০তম ফিফটির ইনিংসটিতে বল খেলেছেন ৪৪টি।
এর আগে বাংলাদেশকে তিন শ ছুঁই ছু্ঁই স্কোর এনে দেওয়ার পথে তৃতীয় উইকেটে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন মিরাজ। তবে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তানজিদ তামিমই। ব্যক্তিগত ৬০ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি খেলার পথে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৩৪ রান তোলেন বাঁহাতি ওপেনার।
১৯ রানে সৌম্য আউট হলে মিরাজের সঙ্গে সেই জুটিটা গড়েন তানজিদ তামিম। ৬ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসটি আলজেরি জোসেফের বলে শেষ হলে মিরাজের সঙ্গে তার জুটি ভেঙে যায়। মাঝে এক বছর পর ওয়ানডেতে সুযোগ পাওয়া আফিফ হোসেন খেলেন ২৮ রানের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।