যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। তবে শেষ পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশ নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে কি না সে জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পাক-ভারত যুদ্ধের জন্য এরই মধ্যে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
স্থগিত হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ক্ষতির পরিমাণ এখনো না জানা গেলেও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বাকি অংশ আর মাঠে না গড়ালে প্রায় ২০০০ কোটি রুপি লোকসান হবে টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্টদের।
গতকাল এমন খবরই প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো।
আইপিএলের এখনো ১৬টি ম্যাচ বাকি। এই ম্যাচগুলো না হলে বীমার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরও প্রতি ম্যাচের জন্য ১০০ থেকে ১২৫ কোটি রুপি লোকসান হবে বলে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সূত্র জানিয়েছে। যেখানে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে ক্ষতির মুখে পড়বে সম্প্রচারকারী চ্যানেল, স্পন্সর এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
এই ক্ষতি ঠেকাতে বিসিসিআই কর্তারা চেষ্টা করছেন আইপিএল শেষ করার।
পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরু করার অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় আছে আয়োজকরা। এই অনুমতি পেলে ভেন্যু সংখ্যা কমিয়ে তিনটি শহরে আইপিএলের বাকি অংশ চালাতে চায় তারা।
যেখানে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদ ভাবনায় আছে তাদের। ইংলিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে বিসিসিআইকে প্রস্তাব দিয়েছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ বিরতির পর যদি ভারত পুনরায় আইপিএল চালু করতে না পারে, তাহলে টুর্নামেন্টের বাকি থাকা ম্যাচগুলো বছরের শেষ ভাগে আয়োজনে আগ্রহী ইংল্যান্ড। তবে আইপিএল এ মাসে শুরু করা না গেলে বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে।
আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আন্তর্জাতিক সিরিজের ব্যস্ততা শুরু হচ্ছে। ১১ জুন লর্ডসে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলবেন দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় তারকারা। এমনকি ভারতও ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে। এদিকে আইপিএল স্থগিতের পরই বিদেশি ক্রিকেটাররা ভারত ছাড়তে শুরু করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এবার আইপিএল-পিএসএলের ভাগ্য কোন পথে যাবে, সে জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।