আগামী শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের তিন শ্রেণির বইয়ের দরপত্রের অনুমোদন দেয়নি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। মঙ্গলবার কমিটির ৩২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন ‘কাজের স্বাভাবিক গতি বিঘ্নিত: বিশৃঙ্খল অবস্থা শিক্ষা খাতে’ এমন শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে খবর প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। পরে সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, শিক্ষা বিভাগের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ দপ্তর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ২০২৬ সালের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির সব ধরনের দরপত্রের অনুমোদনের সুপারিশ বাতিল করা হয়। যষ্ঠ শ্রেণির ৯৭টি দরপত্রের মোট চার কোটি ৩২ লাখ বইয়ের ক্রয় মূল্য ছিল ১৮০ কোটি চার লাখ টাকা। সপ্তম শ্রেণির ৯৪টি দরপত্রে মোট তিন কোটি ৯০ লাখ বইয়ের ক্রয় মূল্য ছিল ২০০ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর অষ্টম শ্রেণির ৮৯টি দরপত্রের তিন কোটি ৬৬ লাখ বইয়ের ক্রয় মূল্য ছিল ২২৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ তিন শ্রেণির ৬০০ কোটির টাকার ক্রয় সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করা হয়েছে। দরপত্রের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ ধরনের গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বিন্যামূল্যে পাঠ্যবই ছাপাতে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে বেশির ভাগ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। সেখানে শিক্ষার্থীদের ৩০ ভাগ নিম্নমানের বই দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত চেয়ারম্যান না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটো পুরস্কার হিসাবে এসব বিতর্কিত মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগকে বই ছাপানো কাজ পেতে সুযোগ করে দেয় এনসিটিবি।











































