শবনম ফারিয়া
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটক ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পরিচিতি পান। তিনি অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। যেখানে তার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
সম্প্রতি নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন শবনম। হয়েছেন বিচারক। এনটিভির রিয়ালিটি শো ‘হা-শো’র সপ্তম মৌসুমের বিচারক হয়েছেন অভিনেত্রী। সে প্রসঙ্গ ধরেই তার সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।
কেমন যাচ্ছে দিনকাল?
খুবই ভালো যাচ্ছে। যেহেতু ‘হা-শো’র শুটিং করছি, ফলে হাসাহাসি, আনন্দের মধ্য দিয়েই সময় কাটছে। এরই মধ্যে অনেকগুলো পর্বের শুটিং হয়েছে। আরো বাকি আছে।
প্রথমবার এমন ভূমিকায়। বিচারকার্য কেমন লাগছে?
ভালো লাগছে। কারণ আমি এমনিতেও নিয়মিত স্ট্যান্ডআপ কমেডি শো দেখি। এখানে বিচারক হিসেবে যুক্ত না হলেও দর্শক হিসেবে অনুষ্ঠানটি টিভিতে দেখতাম, এখন সরাসরি দেখছি, এটুকুই।
আপনাকে হাসানো সহজ, নাকি কঠিন?
এবারের আসরের প্রতিযোগীরা সম্ভবত আমাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়।
কারণ ওরা চাইলেও কোথাও থেকে জোক নকল করতে পারে না। আমি এত বেশি কমেডি শো দেখি, কোনো জায়গা থেকে কপি করলে বুঝতে পারি। ফলে আমাকে হাসানো একটু কঠিন।
ভিনদেশি কমেডি শো নিয়মিত দেখেন বললেন। সে অনুযায়ী দেশের শো-গুলোর কোন দিকটায় উন্নতি করা যেতে পারে?
মেয়েরা যাতে আরো অংশ নেয়, সেদিকটায় নজর দেওয়া যেতে পারে। শিশুদের জন্য কিছু কৌতুক থাকে, সে ক্ষেত্রে শিশুদের অংশগ্রহণ নিয়েও কাজ করা যায়। যেমন আমাদের এই আয়োজনে বেশ কয়েকটা শিশু আছে, তারা নিজেদের বয়সী কৌতুক বলে এবং শুনতে খুবই ভালো লাগে। সুতরাং শিশু ও মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়লে স্ট্যান্ডআপ কমেডি শো-গুলো আরো সমৃদ্ধ হবে।
এমন কী হয়, শুটিং শেষে বাড়ি ফেরার পর একান্তেই কোনো জোকস মনে পড়ে গেল, অমনি হেসে ফেললেন…?
এটা প্রতিদিনই হচ্ছে। ওরা এমন এমন কৌতুক বলে, মাথায় থেকে যায়। মাঝেমধ্যে বাসায় ফিরে মাকে ওই কৌতুকগুলো শোনাই। অনুষ্ঠানের সেটে তো হাসিই, ঘরে ফিরেও হাসতে থাকি।
অভিনয়ে এখন কী করছেন?
‘হা-শো’র শুটিংয়ের ফাঁকেই সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনচিত্র করেছি। আর দুটি ওয়েব সিরিজ করব, চূড়ান্ত হয়ে আছে। একটির শুটিং দেশের বাইরে, অন্যটি দেশে হবে। আপাতত সিরিজ দুটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি।
সিরিজ দুটির নির্মাতা কে, সহশিল্পী কারা?
সিরিজ সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না। চুক্তিপত্রে লিখিত শর্ত দেওয়া আছে।
‘দেবী’র (২০১৮) পর সিনেমাও তো করলেন না। কেন?
এর পর এমন কোনো গল্পে ডাক পাইনি, যেটা পড়ে মনে হয়েছে ছবিটির অংশ হতে চাই। ‘দেবী’র জন্য সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা, প্রশংসা কিংবা পুরস্কার পেয়েছি, সে ধরনের বা মানের কাজ না পেলে সিনেমা করব না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে রকম কোনো ছবির প্রস্তাব আমার কাছে আসেনি।
পড়াশোনার পর্ব শেষ। অভিনয়ের বাইরে আর কিছু করার ভাবনা আছে কি?
হ্যাঁ, আশা করছি কোনো প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হব। আগেও আমি করপোরেট চাকরি করেছি। মাঝে স্নাতকোত্তরের জন্য চাকরি ছাড়তে হয়েছিল। তো পড়া যেহেতু শেষ, আশা করছি নতুন বছরের শুরুতেই কোনো কম্পানিতে যুক্ত হব। আসলে চাকরি করা আমার প্রথম পছন্দ না। আমি অভিনয়টাই করতে চাই। কিন্তু শুধু অভিনয় করে চলতে গেলে বেছে কাজ করার সুযোগ কম থাকে। কারণ অর্থনৈতিক ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হয়। তবে চাকরির পাশাপাশি অভিনয় করলে বেছে বেছেই কাজ করা যায়। আর আমার ইচ্ছাটাও এমন, অল্প কাজ করতে চাই, তবে ভালো কাজটাই করতে চাই। সেটার জন্যই বিকল্প ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবা।