হামজাকে উভয় ভূমিকায় মাঠে চান কাবরেরা

জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের সময় কোচ কাবরেরা।

এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে আগামীকাল দলের অনুশীলনে যোগ দিবেন হামজা চৌধুরী। হংকং, চায়নার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে আগামীকাল সকালে ইংল্যান্ড থেকে দেশে আসবেন লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার।

বাংলাদেশে নেমে বিকালে অনুশীলনে যোগ দেবেন হামজা। শিষ্যদের নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই জাতীয় স্টেডিয়ামে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

হংকংয়ের বিপক্ষে হামজার ভূমিকা কেমন হবে সে বিষয়ে আজ কথা বলেছেন বাংলাদেশের কোচ। তার বিশ্বাস, হামজা দুই ভূমিকায় অবদান রাখবেন।

আজ অনুশীলন শেষে কাবরেরা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, বর্তমান পজিশনে হামজা খুবই ভালো করছে। এমনকি সবশেষ ম্যাচে অনেক সময় সে উপরে উফে খেলেছে, যেটার জন্য তাকে আমাদের সমর্থন দিতে হবে।

রক্ষণে তার উপস্থিতির যে ভারসাম্য আমাদের কেবল সেটাই নয়, পেছন থেকে, দ্বিতীয় লাইন থেকে আমাদের জন্য তার সুযোগ তৈরি করে দেওয়াটাও প্রয়োজনীয়। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোলের খুবই ভালো সুযোগ সে পেয়েছিল। আমি মনে করি, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এবং আক্রমণভাগে মিশ্র ভূমিকা রাখার সামর্থ্য তার আছে।’

আগামী ৯ অক্টোবর ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

প্রতিপক্ষদের আতিথেয়তার স্বাদটা তিক্ত দিতে চান কাবরেরা। স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ বিশ্বাস আছে। আমরা তিন পয়েন্ট পাওয়ার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। হংকং নিশ্চিতভাবেই শক্তিশালী দল। শারীরিক শক্তি নির্ভর দল, নিশ্চিতভাবে তাদের বিপক্ষে আমাদের ভুগতে হবে।

তাদের বিপক্ষে ম্যাচে ভালো করতে হলে আমাদের পারস্পরিক ত্যাগের মানসিকতা থাকতে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, অতীতে এই দল যেমন পারফরম করেছে, তেমনটা করতে পারি, তাহলে আমি আশাবাদী আমরা পারব।’

হংকংয়ের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট পেতে শিষ্যদের কাছ থেকে দারুণ পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন কাবরেরা। কোচ বলেছেন, ‘হংকং ম্যাচে আমরা সবার কাছে খুবই ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করি। ঘরের মাঠে তিন পাওয়ার জন্য এবং বাছাই পেরুনোর দাবিদারদের একজন হওয়ার জন্য এটা আমাদের জন্য আরেকটি বড় সুযোগ। আমরা শেষ পর্যন্ত এর জন্য লড়তে চাই। এটাই সবার লক্ষ্য। হামজা এবং শোমিত-তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ভালো একটা প্রভাব তারা রাখবে। হামজা আগামীকাল সকালে আসবে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সে তিনটা ট্রেনিং সেশন পাবে। আর শোমিত, তার জন্য বিষয়গুলো একটু কঠিন হবে। কেননা, সে আগামী পরশু সন্ধ্যায় পৌঁছাবে, যেটা তার জন্য একটু নেতিবাচক। সে পৌঁছালে তার সঙ্গে আমরা কথা বলব এবং সে কেমনটা অনুভব করছে, সে অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।’

LEAVE A REPLY