সংগৃহীত ছবি
বর্তমান সময়ে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের রক্তে পাওয়া মোমের মতো এই পদার্থটি যতক্ষণ স্বাভাবিক থাকে, ততক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যখন এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় এবং রক্তনালিতে বাধা সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।
খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, কম শারীরিক পরিশ্রম এবং জাঙ্ক ফুডের কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল, কমলা ও পেঁপের মতো কিছু ফল শিরায় জমে থাকা চর্বি ভেঙে রক্ত পরিষ্কার রাখতে এবং হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা পালন করে। খালি পেটে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে এবং দ্রুত কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর আরেকটি ফল—পেঁপে। এটি একটি অত্যন্ত হৃদয়-বান্ধব ফল হিসেবেও বিবেচিত হয়। পেঁপেতে উপস্থিত প্যাপেইন এনজাইম হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরে জমে থাকা চর্বি কমায়। এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে পেঁপে খেলে শরীর বিষমুক্ত হয় এবং শিরায় জমে থাকা অমেধ্য পরিষ্কার হয়।
ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। কমলালেবুতে থাকা কিছু যৌগ শিরায় প্রদাহ কমায় এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। এই ফলটি শরীরের চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতা বাড়ায়, ধীরে ধীরে জমে থাকা কোলেস্টেরল কমায়।
ডালিমকে হৃদরোগের জন্য একটি উপযোগী ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এর শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পলিফেনল শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ধমনি থেকে ধ্বংসাবশেষ অপসারণে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয় এবং ধমনীর নমনীয়তা উন্নত হয়।
অ্যাভোকাডোতে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এগুলোতে পটাশিয়াম, ফাইবার ও ভিটামিন ই বেশি থাকে, যা হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, ধমনি পরিষ্কার রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সালাদে অর্ধেক অ্যাভোকাডো যোগ করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
খাবার পরিবেশনে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করেন? যে কারণে সতর্ক হবেন
সূত্র : নিউজ ১৮
